Breaking

Tuesday 19 July 2022

বিদায় হজ্বের ভাষণ এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কর্তৃক ঘোষিত সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংস্কারাবলী

 বিদায় হজ্বের ভাষণ এবং 

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কর্তৃক ঘোষিত সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংস্কারাবলী 


৬৩২ সালে আরাফাতের ময়দানের প্রদত্ত বিদায় হজের ভাষণ বিশ্ব মানবাধিকার এর শ্রেষ্ঠ সনদ। ইসলামের ইতিহাসে রাসুল সঃ এর বিদায় হজ এবং প্রদত্ত ভাষণ এক অবিস্মরণীয়, তাৎপর্যপূর্ণ ও শ্বাশত  দলিল। মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর বিদায় হজের ভাষণে যে সকল সামাজিক,রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় সংস্কার এর বাণী উচ্চারীত হয়েছে তা বিশ্ব ইতিহাসে  এক বিরল দৃষ্টান্ত। যে কোন জাতি, যে কোন ধর্ম, যে কোন গোষ্ঠীর নিকট তার উচ্চারিত মানবতার মর্মবাণী অকপটে গ্রহণযোগ্য। তাঁর সুমধুর,হৃদয়গ্রাহী ও আকর্ষণীয় বাণী উপস্থিত জনতাকে অভিভূত করেছিল। মূলত মোহাম্মদ সাঃ আরাফাতের ময়দানের ভাষণ এর মাধ্যমে দীর্ঘ ২৩ বছরের প্রচারিত মিশনের  পূর্ণতা দান করেছেন।  






বিদায় হজ্জের ভাষণ:

১০ম হিজরিতে অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে হজ্জ পালনকালে আরাফাতের ময়দানে মুহাম্মাদ (স:) যে  খুৎবা বা ভাষণ দেন ইতিহাসে তা ই বিদায় হজ্জের ভাষণ নামে পরিচিত। হজ্জের দ্বিতীয় দিনে আরাফাতের মাঠে অবস্থানকালে অনুচ্চ জাবাল-এ-রাহমাত টিলার শীর্ষে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সমবেত মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তিনি এই ভাষণ দিয়েছিলেন। মুহাম্মাদ সঃ জীবিতকালে এটা শেষ ভাষণ ছিলো, তাই সচরাচর এটিকে বিদায় খুৎবা বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি তার সবুয়ত  মিশনের উপসংহার টেনেছেন এবং মুসলমানদের সার্বিক জীবনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। 



 সৈয়দ আমীর আলী বলেন-

“দলে দলে আরবের লোক আসিয়া মুহাম্মদ সঃ এর  ধর্ম গ্রহণ করিতে থাকিলে তিনি অনুভব করিলেন তার কার্য শেষ হইয়া আসিতেছে। মৃত্যুর আর বেশি দিন বাকি নাই। এই ধারণা করিয়া তিনি  ৬৩২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি, দশম হিজরি জিলকদ মাসে পরিবারবর্গ সহ প্রায় ১লক্ষ ১৪ হাজার সাহাবি সাথে লইয়া মক্কা অভিমুখে রওনা হইলেন এবং হজ্জ কার্য সমাধা করিয়া আরাফাতের ময়দানে এক বিদায়ী ভাষণ প্রদান করিলেন। ইতিহাসে এটাই  বিদায় হজ্জ নামে পরিচিত”। 




বিদায় হজের ভাষণ এর আলোকে মুহাম্মদ (সঃ) কর্তৃক ঘোষিত সংস্কারাবলীঃ


আল্লাহর নিকট উপস্থিতি ও জবাবদিহিতা:

ঐতিহাসিক আল-মাসুদি বলেন: মহানবী  (সঃ)  সমবেত লোকদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন; স্মরণ রেখো তোমাদেরকে একদিন আল্লাহর নিকট উপস্থিত হতে হবে এবং তোমাদের দুনিয়ার প্রত্যেকটি কাজের জন্য তাঁর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং তোমরা কখনো সত্যপথ ভ্রষ্ট হবে না, পরস্পর রক্তপাতে লিপ্ত হবে না। 


জানমালের নিরাপত্তা: 

রাসূল  (সঃ) এই ভাষণে মুসলমানদের রক্ত, সম্মান, ও ইজ্জতকে পবিত্র আসনে সমাসীন করেন। অন্যায় ভাবে রক্তপাত, প্রাণসংহার, সম্মানহানি ও পর সম্পদ আহরণ হারাম বলে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন আজকের এ দিন, এ মাস সকলের জন্য যেরূপ পবিত্র সেরূপ তোমাদের প্রত্যেকের জীবন ও সম্পত্তি মহাপ্রভুর সাথে সাক্ষাতের পূর্ব পর্যন্ত পরস্পরের নিকট পবিত্র ও হস্তক্ষেপের অনুপযুক্ত। 


নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা:

নারীর অধিকার ও মর্যাদা দানে তিনি ঘোষণা করলেন; তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের যেরূপ অধিকার আছে, ঠিক তেমনি তোমাদের উপরও তাদের সেরূপ অধিকার আছে।  আল্লাহকে সাক্ষী রেখে তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছে। সুতরাং তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করবে। 


দাস-দাসীদের অধিকার: 

দাস-দাসীরা সমাজেরই একটি অংশ। তাদের অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করতে রাসূল বললেন; তোমরা দাস-দাসীদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে। তোমরা যে রুপ আহার করবে, করবে যে রকম বস্ত্র পরিধান করবে তাদেরকে সেরূপ খাদ্য-বস্ত্র দান করবে। তারা যদি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করে তা হলেও তাঁদেরকে মুক্তি দান করবে। স্মরণ রেখো তারা আল্লাহর সৃষ্টি, এবং তোমাদের মতই মানুষ। 


ভ্রাতৃত্ব বন্ধন:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্বে বিরল। তিনি বলেন: স্মরণ রেখো; সমস্ত মুসলমান পরস্পর ভাই-ভাই এবং তোমরা একই ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। সমগ্র মুসলিম দুনিয়ার সমূদয় মুসলিম এক অবিচ্ছেদ্য ভাতৃ সমাজ। অনুমতি ব্যতীত কেহ কারো কোন কিছু জোর করে কেড়ে নিবে না। 


হত্যা ও ভ্যাবিচার  নিষিদ্ধকরণ:

সামাজিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে তিনি ঘোষণা করলেন; তোমরা অন্যায় ভাবে নরহত্যা করবেনা এবং তোমরা কখনও ভ্যাবিচারে লিপ্ত হবে না।  বস্তুত সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে এ দু'টি বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 


সাম্য প্রতিষ্ঠা:

রাসূল সঃ সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি পরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন।তিনি বলেছেন মনে রেখো বাসভূমি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলমান সমপর্যায়ভুক্ত। আজ থেকে বংশ কৌলিন্য প্রথা বিলুপ্ত হলো। কোন অনারবের উপর কোন আরবের প্রাধান্য নাই ঠিক তেমনি কোন আরবের উপর কোন অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নাই। তোমাদের মধ্যে সে ই  কুলীনকুল যে স্বীয় কার্যের গুণে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে আগ্রহী। মানুষ সবাই আদম হতে আর আদম মাটি হতে তৈরি। 


সুদ প্রথার বিলোপ সাধন:

সুদ প্রথা আরবের সমাজে গভীরভাবে প্রোথত ছিল। এই ঘৃণ্য সুদ প্রথাকে হারাম ঘোষণা করে রাসূল সঃ বললেন;আজ হতে জাহিলি যুগের যাবতীয় সুদ বাতিল করা হলো। কারণ সুদ প্রদান এবং গ্রহণ উভয়ই অপরাধ। আমি ঘোষণা করছি আমার স্বগোত্রের প্রাপ্ত সমস্ত সুদ ও সকল প্রকার রক্তের দাবি আজ হতে রহিত হয়ে গেল। 


কুসংস্কারেরমূল উৎপাটন:

কুসংস্কার একটি সামাজিক ব্যাধি। কুসংস্কারে নিমজ্জিত সমাজ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আরব জাতি ইতোপূর্বে বিভিন্ন কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসে নিমজ্জিত ছিল। তিনি এসব দূরীকরণে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলেন; জাহিলি যুগের সকল কুসংস্কার,অন্ধ বিশ্বাস ও অনাচার আজ আমার পদতলে পিষ্ট হলো। এর মাধ্যমে তিনি যাবতীয় কুসংস্কার থেকে মুক্ত থাকার জন্য মুসলিম উম্মাহকে আহ্বান জানালেন । 


নেতার আনুগত্য নির্দেশ:

নেতার আনুগত্য করা যে কোন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । তাই রাসূল সঃ ঘোষণা করলেন যদি কোন নাককাটা হাবসি গোলামকে তোমাদের নেতা বানিয়ে দেওয়া হয় এবং যে পর্যন্ত সে তোমাদেরকে পবিত্র কোরআনের নির্দেশ মোতাবেক  পরিচালনা করে,  ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাঁর আনুগত্য করবে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে নেতার আনুগত্য করার গুরুত্ব সহজেই অনুমান করা যায়। 



আমানতের হেফাজত করা:

অন্যের গচ্ছিত আমানত হেফাজত করা ঈমানী দায়িত্ব। তাই তিনি ঘোষণা করলেন সর্বদা অন্যের আমানতের হেফাজত করবে, অন্য হাদিসে বলেছেন; যার আমানতদারী নাই, তার ঈমান নাই। সর্বোপরি আমানতের খিয়ানত করা মুনাফিকের আলামত। 


জীবন বিধানের নির্দেশনা:

মানুষ দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে হলে তার কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। সমাজে মানুষ কিভাবে চলবে, তার স্বাভাবিক জীবন সে কিভাবে পরিচালনা করবে সেই দিক নির্দেশনা রানুল ((স:)  বিদায় হজের ভাষণ প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন তোমাদের জীবন পরিচালনার জন্য আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসূলের সুন্নাহ রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এই দুটোকে আঁকড়ে ধরবে ততদিন তোমরা পথ ভ্রষ্ট হবে না। 


ধর্মীয় বাড়াবাড়ি নিষিদ্ধকরণ:

লক্ষাধিক জনতাকে তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন; সাবধান ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করিও না। যদি তা করো তাহলে শয়তান খুশি হয়। ধর্ম নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির  ফলে তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। সুতরাং ধর্মীয় বাড়াবাড়ি ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ এবং ধর্মের  জ্ঞানহীন ধর্মীয় আবেগ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। 


অন্যের উপর দোষ চাপানোর নিষিদ্ধকরণ:

সমাজের একটি মারাত্মক প্রচলিত নেতিবাচক নীতি হলো  একজনের দোষ অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া। এর ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। রাসুলসঃ তা করতে নিষেধ করেন।  তিনি বলেন একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে দণ্ড দেওয়া যায় না, অতপর পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে এবং পুত্রের  অপরাধের জন্য পিতাকে দোষারোপ করা চলবে না ।


বংশ পরিবর্তন নিষিদ্ধ:

এক বংশের লোক হয়ে নিজেকে অন্য বংশের লোক বলে পরিচয় দেয়াকে রাসুল (স:) চরম ঘৃণা করেছেন। তিনি বলেন; যে ব্যক্তি নিজের বংশের পরিবর্তে নিজেকে অন্য বংশের বলিয়া প্রচার করে তাহার উপর আল্লাহর, তাহার ফেরেশতাগণের ও সমগ্র মানবজাতির অনন্ত অভিশাপ। 




অত্যাচার না করার নির্দেশ:

সমাজ থেকে অত্যাচার দূরীভূত করতে তিনি ঘোষণা করলেন; হে লোকসকল শ্রবণ করো, গ্রহণ করো এবং গ্রহণ করে জীবন লাভ করো। সাবধান কোনো মানুষের উপর অত্যাচার করো না, অত্যাচার করো না, অত্যাচার করো না । সাবধান কারো অসম্মতিতে তার সামান্য সম্পদও গ্রহণ করো না। 


ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব:

আরাফাতের ময়দানের ভাষণ ছিল দুনিয়ার সকল মুসলমানদের উদ্দেশ্যে। আর যারা উপস্থিত ছিল তাদের  উপর তিনি এই বাণী প্রচারের দায়িত্ব অর্পণ করে বলেন; যারা উপস্থিত আছো তারা  অনুপস্থিত লোকদের কাছে আমার এ বাণী পৌঁছে দিবে।  হয়তো উপস্থিত কিছু  লোকদের চেয়ে অনুপস্থিত অনেক লোক  ইহার দ্বারা  বেশি উপকার লাভ করবে। 


জ্ঞানার্জনের প্রতি  গুরুত্বারোপ:

তিনি বললেন হে লোকসকল শ্রবণ করো, আমার পরে আর কোন নবী আসবে না, তোমাদের পরে  আর কোন উম্মত নাই, আমি যা বলতেছি তা শুনে নাও। এই বছরের পর তোমরা হয়তো আমার সাক্ষাৎ পাবেনা।  জ্ঞান উঠে যাওয়ার পূর্বে আমার নিকট থেকে শিখে নাও। 



বিদআত থেকে সাবধানতা:

মুসলিম সমাজে ঈমান নষ্ট কারী বিদআত তথা নবসৃষ্ট ধর্মীয় বিষয় সূক্ষ্মভাবে প্রবেশ করবে। তাই এ বিষয়টিও তিনি সাবধান করে দিলেন। তিনি বললেন; শয়তান নিরাশ হয়েছে যে সে আর কখনো তোমাদের দেশে পূজা পাইবেনা,কিন্তু সাবধান! অনেক বিষয়কে তোমরা ক্ষুদ্র বলে মনে করে থাকো, অথচ শয়তান তার মাধ্যমে অনেক সময় তোমাদের সর্বনাশা  করে থাকে। ওইগুলো অর্থ্যাৎ বিদআত সম্পর্কে সতর্ক থাকবে। 


চারটি বিশেষ নির্দেশ:

এক পর্যায়ে তিনি চারটি বিশেষ নসিহত প্রদান করলেন। চারটি কথা, হ্যা এই চারটি  কথা বিশেষ করে স্মরন রাখবে।  শিরক করবে না, অন্যায় ভাবে হত্যা করবে না, পর সম্পদ অপহরণ করবেনা এবং এবং ভ্যাবিচারে  লিপ্ত হবে না। 



উপসংহার: 




বিদায় হজ্বের পর আরাফাতের ময়দানে প্রদত্ত রাসূল সঃ এর বিদায় হজের ভাষণ মুসলমানদের সার্বিক জীবনের এক মহান দিকনির্দেশনা। এই ভাষণে তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাত ,খতমে নবুওয়াত, মানবতা ও নৈতিকতা, সাম্যবাদ, সামাজিক শৃঙ্খলা, সামাজিক নিরাপত্তা, রাজনীতি ও দার্শনিকতার অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে। এ শিক্ষামূলক উপদেশ জাতির জন্য সত্যিকারের মুক্তি ও শান্তির সন্ধান দিতে পারে। তখনই ইসলামের পূর্ণতা দান করে ঐশী বাণী নাযিল হয়-


তোমাদের দিন আজ আমি পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং তোমাদের জন্য আমার নেয়ামতকে পরিপূর্ণ করে দিলাম মাত্র জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে তোমাদের জন্য মনোনীত করা (আল কোরআন, সূরা আল-মায়িদা, আয়াত-৩)



 Md. Billal Hossain

B.A. Honors (1st Class 4th), M.A. (1st Class 2nd), University of Dhaka

BCS (General Education)

Lecturer

Department of Islamic History Culture




No comments:

Post a Comment