পর্তুগিজদের মালাক্কা দখল এবং সুলতানের পরাজয়ের কারণসমূহ
The capture of Malacca by the Portuguese (1511)
১৪০০ সালের দিকে শ্রী পরমেশ্বরের নেতৃত্বে বণিকতান্ত্রিক মালাক্কা রাজ্যের উত্থান ঘটে। ১৪১৪ সালে তার ইসলাম গ্রহণ মালাক্কার বাণিজ্যিক শক্তিকে আরো বৃদ্ধি করে। বর্তমান প্রাচ্য বাণিজ্যে সিঙ্গাপুরের যে ভূমিকা তৎকালের প্রাচ্য বাণিজ্যে মালাক্কার ভূমিকা ছিল অনুরূপ।রাজা পরমেশ্বরের নানাবিধ পদক্ষেপ এবং তার বংশধরদের আমলে মালাক্কা সালতানাতের যুগে এর প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। তুন আলী এবং তুন পেরাকের মত বেন্দাহারাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে একসময় মালাক্কা মসলা বানিজ্যসহ সামগ্রীক বানিজ্যের প্রাণকেন্দ্র পরিণত হয়। ১৫১১ পর্যন্ত মালাক্কা সালতানাত টিকে থাকে। ১৫১১ সালে পর্তুগিজরা মালাক্কা দখল করে নিলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মুসলিম রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক আধিপত্যবাদের অবসান ঘটে।
পর্তুগিজদের মালাক্কা দখলের কারণসমূহ:
পর্তুগালের সম্রাট ম্যানুয়ালের নির্দেশ এবং পোপের দেয়া ধর্মাদেশের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মুসলিম আধিপত্য ধ্বংস করা এবং খ্রিস্টধর্ম পাচার করার জন্যই তারা মালাক্কা আক্রমন করে। অর্থাৎ-
রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা;
মসলা বাণিজ্যের উপর একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা;
খ্রিস্টধর্ম প্রচার;
ইউরোপ এবং আমেরিকায় পাচারের জন্য দাস সংগ্রহ করা এবং
মুসলিমদের আধিপত্য ধ্বংস করা
ইত্যাদি কারণে পর্তুগিজরা মালাক্কা আক্রমণ করে।
উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার কর্মতৎপরতা:
ভারত এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সর্বপ্রথম আগমন করেছিল পর্তুগিজরা। পর্তুগিজ সম্রাট কর্তৃক নিয়োগকৃত গভর্নর জেনারেল আলমেইদা প্রথম দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মুসলিম আধিপত্য ধ্বংস করার চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু সামরিক দুর্বলতার কারণে তিনি তা না করে সতর্কতামূলক বাণিজ্যিক সহাবস্থান নীতি গ্রহণ করেন। একারণে ১৫১০ সালের আগ পর্যন্ত তাদের কোন উপনিবেশ তথা ভূখণ্ড এখানে ছিল না।
তার অতি সতর্কতামূলক এই নীতির কারণে তার সহযোগী আল-বুকার্কের সাথে তার বিরোধ বাধে এবং ১৫০৯ সালে তাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়। অতঃপর আল বুকার্ককে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পর্তুগিজ বাণিজ্যের গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। আল বুকার্ক প্রথমেই 1510 সালে ভারতের অন্যতম বাণিজ্যিক বন্দর গোয়া দখল করে তাদের প্রথম উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেন। অতঃপর আল বুকার্ক গোয়া থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মালাক্কা দখলের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন-
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস রচনার উৎসসমূহ
পর্তুগিজদের মালাক্কা দখল প্রক্রিয়া
প্রাথমিক অভিযান:
আল বুকার্ক গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্পর্কে নতুনভাবে চিন্তা করতে শুরু করেন। তিনি গোয়া থেকে দিয়াগো লোপেজ দ্য সিকুইরার নেতৃত্বে ছয়টি জাহাজ সম্বলিত একটি নৌবহর তথ্য সংগ্রহ ও বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের উদ্দেশ্যে মালাক্কায় প্রেরণ করেন। মালাকার গুজরাটি, জাপানি ও মালয়ই বণিকরা পর্তুগিজদের আগমনে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। তারা সুলতান মাহমুদ শাহকে পর্তৃগিজ বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করতে সহায়তা করে। তৎকালীন মালাক্কার বেন্দাহারা তুন মোতাহির ছিলেন গুজরাটি বংশভৃত। সিকুইরা মালাকাতে একটি বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি চাইলে তুন মুতাহির তাতে অস্বীকৃতি জানান। পর্তুগিজরা বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি না পেলেও কুঠি নির্মাণের নামে তারা সামরিক দুর্গ নির্মাণের চেষ্টা করে।বেন্দাহার তু মুতাহির তাদের জাহাজগুলি আটক করেন এবং ২০ জন পর্তুগিজকে বন্দী করেন। বন্দীদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে শিকুইরা দুইটি জাহাজে আগুন ধরে দিয়ে চারটি জাহাজ নিয়ে গোয়ায় ফিরে আসতে সক্ষম হন।
আল বুকার্কের অভিযান:
১৫১১ সালে আল বুকার্ক নিজেই ১৮ টি জাহাজ ও প্রায় ১৪০০ সৈন্য নিয়ে গোয়া তেকে মালাক্কা অভিমুখে যাত্রা করেন। তার সৈন্যদের অধিকাংশ ছিল ভারতীয় গুজরাটি। পথিমধ্যে আল বুকার্কের একটি জাহাজ ডুবে যায় কিন্তু তিনি গুজরাটি বণিকদের পাঁচটি জাহাজ লুট করে তার নৌ বহরের শক্তি বৃদ্ধি করেন। ১৫১১ সালের জুন মাসে আল বুকার্ক মালাক্কার জল সীমায় প্রবেশ করেন।
ক্ষতিপূরণ ও দুর্গ নির্মাণের দাবিঃ
আল বোকার্ক ইতিপূর্বে প্রেরিত অভিযানে মালাক্কা সুলতানের হাতে পর্তুগিজ বন্দিদের মুক্তি দাবি করেন, আটককৃত সম্পদ ফেরত এবং ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। সেই সাথে মাল্লাকাতে দুর্গ নির্মাণের অনুমতি প্রার্থনা করেন। কিন্তু সুলতান এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
আল বুকার্কের মালাক্কা আক্রমণ:
আল বুকারকের প্রাথমিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। কিন্তু সে তাৎক্ষণিক মালাক্কা আক্রমণ করতে সক্ষম হয়নি। ২৫ জুলাই সে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে মালাক্কার সংযোগ সাকোটি দখলের চেষ্টা করে। তাতেও সেই ব্যর্থ হয়।
বিভাজন নীতির প্রয়োগ:
পরবর্তী আক্রমণের পূর্বেই আল বুকার্ক একটি কৌশল প্রয়োগ করেন। তিনি মালাক্কায় অবস্থানরত মুসলিম-অমুসলিম বণিকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেন। আল বুকার চৈনিক,বার্মিজ, জাভানি ও ভারতীয় বণিকদের জাহাজগুলোর ক্ষতিসাধন না করে আরব মুসলিম ও গুজরাটি মুসলিম বণিকদের জাহাজগুলোর ক্ষতিসাধন করেন এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। এই ঘটনার পর চীনা ও ভারতীয় অমুসলিম বণিকরা মালাক্কা দখলে পর্তুগিজদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে। আল বুকার্কের এই কৌশল সুলতান এর বহু ভাড়াটে সৈন্যকে নিষ্ক্রিয় করে রাখে। ১০ ই আগস্ট আল বুকার্ক সংযোগ সেতুটি দখল করতে সক্ষম হন।
মালাক্কা দখল ও লুটপাট:
বণিকদের মত মালাক্কা সুলতানের সামরিক বাহিনীর ও গোপনে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ে। আল বুকার্ক সেইদিন মালাক্কা আক্রমণ করেন যেদিন মালাক্কা সুলতানের কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠানের রাজকীয় আয়োজন চলছিল। এরকম মোক্ষম সুযোগে বুকার্ক মালাক্কা অতর্কিত আক্রমণ করলে অমুসলিমগণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। অমুসলিমরা পর্তুগিজদের সহায়তা করে। সাধারণ নাগরিকরা নিরব ভূমিকা পালন করে। পর্তুগিজরা মালাক্কার রাজপ্রাসাদে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। মালাক্কা আক্রমণ করে তারা লুটপাটের তাণ্ডব শুরু করে এবং ধনী বিত্তশালী মুসলিম বনিকদের নির্মমভাবে হত্যা করে। পর্তুগিজদের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পূর্বেই অমুসলিম বণিকরা পর্তুগীদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে শুরু করে। এদিকে সুলতান পরিস্থিতির প্রতিকূল দেখে পরিবারবর্গসহ পাহাং এ পালিয়ে যান। এভাবে 1511 সালের 24মে আল বুকার্কের নেতৃত্বে পর্তুগিজরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ বাণিজ্য নগরী মালাক্কা দখল করে।
মালাক্কা সুলতানের পরাজয়ের কারণ
আত্মরক্ষা মূলক নীতি:
মালাক্কার উত্থানের যুগে মালাক্কা ছিল আক্রমাত্মক শক্তি। শেষ দিকে এসে মালাকার সামরিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। মালাক্কা রক্ষামূলক নীতি গ্রহণ করে। পর্তুগিজদের সাথে মালাকার যুদ্ধটি ছিল সম্পূর্ণ আত্মরক্ষামূলক আর আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধে পরাজয়ের সম্ভাবনাই বেশি যার ফলে মালাক্কার পতন ঘটেছে।
বেন্দাহারাদের অযোগ্যতা:
তুন পেরাক যখন মালাক্কার বেন্দাহারা বা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন মালাকার ছিল স্বর্ণযুগ। তিনি ছিলেন মালয়ী। তার নেতৃত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বাধিক। তাঁর মৃত্যুতে রাজ্যে বড় ধরনের শূন্যতার সৃষ্টি হয়।
পরবর্তী বেন্দাহারা তুল মুতাহির অমালয়ী ও ভারতীয় হওয়ার কারণে তার গ্রহণযোগ্যতা কম ছিল। তিনি তুন পেরাকের মতো যোগ্য ও দক্ষ ছিলেন না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তার আকস্মিক হত্যাকাণ্ড মালাক্কার সামরিক শক্তিকে বিশৃঙ্খল করে ফেলে। সুলতান ভয়ানক সংকটে পতিত হন।
অমুসলিমদের অসহযোগিতা:
সুলতানের এই দুর্দিনে মুসলিম বণিকরা তাকে সহায়তা করলেও অমুসলিম চৈনিক ভারতীয় এবং জাভার বণিকরা তাকে সহায়তা করেনি। মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা ভোগের কারণে অমুসলিম বণিকরা ঈর্ষান্বিত ছিল। অমুসলিম বহিরাগত বণিকরা পর্তুগিজদেরকে স্বাগত জানিয়েছিল।
পর্তুগিজদের উন্নত ধরনের কৌশল:
এই যুদ্ধে পর্তুগিজদের সেনাবাহিনীর সংখ্যা তেমন বেশি ছিল না কিন্তু তাদের রণকৌশল ও যুদ্ধাস্ত্র ছিল উন্নত। তাদের হাতে উন্নত ধরনের বন্দুক এবং দূরপাল্লার অত্যাধুনিক কামান ছিল। বিপরীতে মালাক্কা সুলতানের সেনাবাহিনী ছিল ভাড়াটে এবং অর্থের বিনিময়ে কাজ করত। তা সত্ত্বেও মালাক্কা দখল করতে তাদের প্রায় এক মাস লেগেছিল।
অবিশ্বস্ত সেনাবাহিনী:
মালাক্কার সেনাবাহিনীতে মালাকার বাহিরের ভাড়াটে সৈনিক ছিল। যাদের মধ্যে কোন দেশ প্রেম ছিল না, ছিল শুধু অর্থের লালসা। পর্তুগিজদের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখে তারা যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে ছিল। অনেকেই পর্তুগিজদেরকে সহায়তা করেছে।
ক্ষমতার পরিবর্তনের চাহিদা:
ইবনে খালদুনের তত্ত্ব অনুযায়ী কোন রাজবংশ 100 বছরের অধিক টিকে না। ইতিমধ্যেই মালাক্কা সালতানাতের প্রায় ১০০ বছর পরিপূর্ণ হয়েছে তাই এখানে ক্ষমতার পরিবর্তনের চাহিদা ছিল। বহিরাগত বণিক ও ভাড়াটে সৈনিকদের অনেকেরই সুলতানি শাসনের প্রতি বিরাগ ছিল। ফলে তারা নতুন শক্তি হিসেবে পর্তুগিজদের স্বাগত জানায়।
চীনাদের অসহযোগিতা:
চৈনিক বণিকরা ছিল মালাক্কা সুলতানার অন্যতম একটি বাণিজ্যিক শক্তি। কিন্তু তারা পর্তুগিজদের সাথে আতাঁত করে সুলতানদের অসহযোগিতা করে। যা যা মালাক্কার পতন ত্বরান্বিত করে। এ সময়ে চীন দেশ থেকে সরকারি সহায়তা পাওয়ার কোন সুযোগ ছিল না।
নিরাপত্তায় শিথিলতা:
আল বুকার্ক অত্যন্ত উপযুক্ত সময়ে মালাক্কা আক্রমণ করেছিলেন যখন মালাক্কার নিরাপত্তা বাহিনী ছুটিতে ছিল। সেদিন মালাক্কা সুলতানের কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠান চলছিল। সৈনিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের ছুটি মঞ্জুর করে তাদেরকে বিবাহ অনুষ্ঠানের অংশীদার করা হয়েছিল। রাজ্যের অভিজাত নাগরিক শ্রেণী, বনিক, রাজকীয় সভাসদবৃন্দ, সৈনিকসহ রাজ্যের প্রায় সকল জনগণ বিবাহের আনন্দে মেতে উঠেছিল। এমনকি রাজকীয়ভাবে ৩০ চাকার গাড়ি সাজিয়ে সেই গারিবহর গোটা শহরে প্রদক্ষিণ করে আনন্দের মহড়া দিচ্ছিল। এমনই সময়ে আল বুকার্ক মালাক্কা আক্রমণ করেন।
সুলতান ছুটি বাতিল করে তড়িঘড়ি করে আক্রমণ মোকাবেলার আহ্বান জানালেও তারা সবাই আগের মত ফিরে আসেনি। এ সময় ভাড়াটে সেনাবাহিনীর একটি অংশ পর্তুগিজদের কাছ থেকে অধিক অর্থবিত্তের আশায় নিষ্ক্রিয় থাকে এবং অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয়। প্রস্তুতির অভাব এবং সৈনিকদের অনুপস্থিতি মালাক্কার পতন তরান্বিত করে।
আল বুকার্কের দক্ষতা:
আল বুকার্কের দক্ষতাই মালাক্কার পতন এবং সুলতানের পরাজয়ের কারণ। প্রথমবার অভিযানে ব্যর্থ হলে আল বুকার্কের বাহিনীর মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ম্যাকিয়াভেলি কৌশলে মালাক্কা সুলতানের সেনাবাহিনী ও বণিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার যে কৌশল তিনি অবলম্বন করেছিলেন তা-ই পর্তুগিজদের বিজয় এবং মালাক্কা সুলতানের পরাজয়কে নিশ্চিত করেছে। আল বুকার্কের আত্মবিশ্বাস ও বিভাজন নীতি এখানে সফল হয়েছে।
মালাক্কা জয়ের মাধ্যমে পর্তুগিজদের পরবর্তী উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয় মালাক্কাতে। এদিকে ভারতের গোয়া অন্যদিকে মালাক্কা। মালাক্কা মোটামুটি শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও পর্তুগিজদের উন্নত ধরনের রণকৌশল, অমুসলিম ববনিকদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং সামকি বাহিনীর অবিশ্বস্ততার কারণেই মালাক্কার পতন ঘটেছে। পর্তুগিজরা শুধু মালাক্কা বন্দর দখল করেছিল এবং সেটার নিরাপত্তা বিধান করেছিল। সেখানে তারা সামরিক দুর্গ নির্মাণ করেছিল। কিন্তু মালাক্কার সমগ্র এলাকা এবং জনগণের মন তারা কখনো জয় করতে পারেনি। এলাকার জনগণের সহযোগিতা ও সমর্থন তারা কখনো পায়নি। একচেটিয়া বাণিজ্য এবং খ্রিস্টধর্মের প্রচার, দাস ব্যবসা, সমুদ্রে কর আদায় এবং সর্বক্ষেত্রে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারণে মালাই সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করত।
আরো পড়ুন-
প্রাক - মুসলিম মালয় জগতের উপর ভারতীয় ও চৈনিক প্রভাব: স্বরূপ ও তাৎপর্য
আরো পড়ুন-
মুহাম্মদ আলী পাশা এবং আধুনিক মিসর
গ্রন্থপঞ্জি
জহর সেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তকপর্ষদ, কালকাতা ,১৯৮৫
ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ এবং ড. আবু নোমান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমানদের ইতিহাস, এম আব্দুল্লাহ এন্ড সংন্স, তৃতীয় প্রকাশ, ঢাকা, ২০১৭
সুবোধ কুমার মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মিত্রম, কলকাতা, ২০১৫
Md. Billal Hossain
B.A. Honors (1st Class 4th), M.A. (1st Class 2nd), University of Dhaka
BCS (General Education)
Lecturer
Department of Islamic History Culture
No comments:
Post a Comment