Breaking

Saturday, 11 March 2023

মালাক্কা সালতানাত প্রতিষ্ঠায় পরমেশ্বরের ভূমিকা


 মালাক্কা সালতানাত প্রতিষ্ঠায় পরমেশ্বরের ভূমিকা

Prince Consort উপাধি প্রাপ্ত শৈলেন্দ্র যুবরাজ পরমেশ্বর কর্তৃক ১৪০২ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মালয় উপদ্বীপে মালাক্কা বন্দর কেন্দ্রিক বণিক তান্ত্রিক মালাক্কা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। মালাক্কা রাষ্ট্রের উত্থানে এর প্রতিষ্ঠাতা পরমেশ্বর যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তা তার বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে। মালাক্কার কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং পরমেশ্বরের গৃহীত নীতি বণিকতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে মালাক্কার উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল। তিনি মালাক্কিকাকে বিশ্ববানিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করেছিলেন। এবং এর অর্থনীতি এমন মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছিলেন যার মাধ্যমে মালাক্কা একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছিল। তোমেপিরেস বলেছিলেন লাভ এবং গুরুত্বের দিক দিয়ে এ সময় মালাক্কা পৃথিবীর অদ্বিতীয় স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়। 





বণিকতান্ত্রিক রাষ্ট্র মালাক্কা 

কোন রাষ্ট্র বণিকতান্ত্রিক হিসেবে গড়ে উঠলে সেখানে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে যেমন-

  1. রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা থাকা; 

  2. রাজারা হবেন প্রথম শ্রেণীর বনিক তবে একচেটিয়া বাণিজ্য করবেন না; 

  3. সমসুবিধা এবং সমশুল্কের নিশ্চয়তা থাকবে; 

  4. সাধারণ বাণিজ্যাধিকার বা ইচ্ছা করলে যে কেউ বাণিজ্য করতে পারবে; 

  5. অন্ততিক বাণিজ্য কেন্দ্র হতে হবে।


এ সকল বৈশিষ্ট্য নিয়ে ইউরোপের পর্তুগাল বাণিজ্যিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর মালাক্কাতে এ সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল। তাছাড়া ভারত এবং চীনের মধ্যখানে অবস্থিত হওয়ায় মালাক্কা বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের পরিণত হয়েছিল। এর বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। 


মালাক্কা প্রতিষ্ঠার পটভূমি

ইতিপূর্বে মালাক্কা ছিল একটি অখ্যাত জেলেপাড়া এবং জলদস্যুদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত। এই মালাক্কার প্রতিষ্ঠাতা পরমেশ্বর ছিলেন সুমাত্রার পালেমবাং এর শ্রীবিজয় রাজ্যের শৈলেন্দ্র বংশের যুবরাজ।  তিনি ১৩৯০ সালের আগ পর্যন্ত সুমাত্র থেকে মালাক্কা প্রণালী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তিনি পূর্ব যাভার পতনোন্মুখ মজাপাহিত রাজ্যের রাজকন্যাকে বিবাহ করেন। J Kennedy  এর মতে একসময় তিনি মাঝাপাহিদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জাভা থেকে তার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান প্রেরিত হলে তিনি তার দলবল সহ পালিয়ে তুমাসিকে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।  তবে Lea E. Williams এর মতে ভাগ্যের অনিশ্চয়তার কারণে আর D.G.E হলের মতে বীরভূমি  এবং মাজাপাহিতের  বিক্রমবর্ধনের মধ্যে অপসরণের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে তিনি  তুমাসিকে আশ্রয় নেন।  


রাজনৈতিক কারণে উচ্চাভিলাষী পরমেশ্বর সম্ভবত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে মাত্র আট দিনের মাথায় তুমাসিকের শাসনকর্তাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেন এবং সহযোগীদের নিয়ে একটি প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করেন যা পরবর্তী পাঁচ বছর চালু থাকে।


এদিকে  পাতানী রাজ্য ছিল শ্যাম (থাইল্যান্ড) এর অধীনস্থ। আর পাতানির সাথে তুমাসিকের নিহত শাসকের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল। তাই তাৎক্ষণিকভাবে না পারলেও পাঁচ বছর পর শ্যাম  এর সহায়তা নিয়ে পাটানি রাজ্য তুমাসিক আক্রমণ করলে পরমেশ্বর পলায়ন করে মুয়ার নদীর তীরে অবস্থান নেন। এখানে শিকার ও স্বল্প পরিসরে কৃষিকাজ এবং জলদস্যুতের মাধ্যমে তিন বছর অতিবাহিত করেন। 


১৪০১ সালের শেষের দিকে পরমেশ্বর মুয়ার নদীর তীর ধরে তুমাসিক থেকে প্রায় ১৩০ মাইল পশ্চিমে একটি গ্রামে চলে আসেন।  এখানে তিনি  মালাক্কা নামক একটি বৃক্ষের নিচে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এই গাছের নাম অনুসারে তিনি গ্রামটির নাম দেন মালাক্কা। তার আগমনের সাথে সাথেই যেন মালাক্কা নতুন ভাবে সাজতে শুরু করে। পরমেশ্বর মুয়ার নদীতে ব্রিজ নির্মাণ করেন। বাজার, জনবসতি, রাজপ্রাসাদ ও অভিজাতদের জন্য তিনি বসতি গড়ে তুলতে থাকেন। 


According to J. Kennedy

“Paraameswara’s arrival here about the year A.D 1400 marked the beginning of the change from the small settlement of fisherman-pirates to a busy and wealthy entrepot port  and the capital of Malay empire” (See- J. Kennedy, A History of Malaya, S.T Martin Press, New York 1967, P.2)




মালাক্কা সালতানাতের উত্থানে

পরমেশ্বরের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ

সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই মালাক্কা রাজ্যকে একটি বাণিজ্যিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য পরমেশ্বর যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তা নিম্নরূপ-


  1. প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা :

মালাক্কার রাষ্ট্রীয় কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য পরমেশ্বর প্রথমেই পালেমবাং, মাজাপাহিত, শ্রী বিজয় ও তুমাসিকের রাজনৈতিক ও সরকার ব্যবস্থার অনুকরণে একটি সুশৃংখল  প্রশাসনিক কাঠমো গড়ে তোলেন। তিনি বেন্দাহারা বা প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করে পিরামিড তুল্য প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রশাসনে উপকূল ও ভেতরের লোকদের নিয়োগ দেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হতো।



  1. শ্যামের অধীনতা স্বীকার:

সদ্য প্রতিষ্ঠিত মালাক্কাকে সুসংহত করার জন্য পরমেশ্বর সাময়িকভাবে শ্যামের অধীনতা স্বীকার করে নেন।  তার তার এই নীতির মাধ্যমে তিনি শ্যামের আশু আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা লাভ করেন। ১৪১৮ সাল পর্যন্ত তিনি শ্যামকে বাৎসরিক কর প্রদান করেছিলেন। তবুও তার মধ্যে শ্যামের ভীতি বিরাজমান ছিল।  


  1. চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন:

মিং রাজ্যের শাসনাধীন চীন তখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে বাণিজ্য বিস্তার নীতি গ্রহণ করে। চীন তখন এই এলাকার পরাশক্তি। পরমেশ্বর এক বছর পর দুত মারফত চীনকে এই এলাকায় বাণিজ্য করার আমন্ত্রণ জানান। চীন রাজা Younlo, Ying Ching নামক তার এক দুত প্রেরণ করে মালাক্কা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। 


পরমেশ্বর বলেছিলেন শ্যাম এবং মাজাপাহিত এর হাত থেকে নিরাপত্তা দিলে তিনি চীনের বশ্যতা মেনে নিবেন। রাজা Younlo তার প্রস্তাব মেনে নেন এবং দুত মারফত পরমেশ্বরকে স্বীকৃতি দিয়ে রাজা উপাধি দেন। পরাশক্তি চীনের সাথে এইরকম সম্পর্কের কারণে পরমেশ্বরের শ্যাম ভীতি দূরীভূত হয় এবং মালাক্কা নিরাপত্তা লাভ করে। চীন সরকারও তার বাণিজ্যিক প্রয়োজনে মালাক্কার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়।  

According to J Kennedy 

“Perhaps his first wise measure was to grapes  the hand of friendship offered to him by Ming China”


পরমেশ্বর ১৪১১ সালে নিজে চীন সফর করেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর মুসলমান হিসেবে ১৪১৯ সালে পুনরায় চীন সফরে যান। এতে সম্পর্ক আরো জোরদার হয়।  





  1. দস্যুতা পরিহার ও বাণিজ্যমুখী নীতি গ্রহণ:

পরমেশ্বর ইতিপূর্বে দস্যুতা আর লুটপাটের মাধ্যমে প্রণালী নিয়ন্ত্রণ করতেন। চীনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার পর তিনি অর্থ উপার্জনের এই নীতি পরিত্যাগ করে বাণিজ্যমুখী নীতি গ্রহণ করেন। দস্যু দলকে তিনি তার অনুগত দলে পরিণত করে তাদেরকে বন্দর উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত করেন। বাণিজ্য জাহাজকে জোরপূর্বক নোঙ্গরে বাধ্য না করে তিনি তাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেন। 


  1. বন্দর ব্যবস্থাপনা ও বাণিজ্য প্রশাসন

বাণিজ্য জাহাজকে আকৃষ্ট করার জন্য পরমেশ্বর মালাক্কাতে আন্তর্জাতিক মানের বন্দর ব্যবস্থাপনা ও বাণিজ্য প্রশাসন গড়ে তোলেন। বন্দর প্রশাসনে নতুন নতুন পদ সৃষ্টি করে যোগ্য লোকদের নিয়োগ দেন। যেমন- 


ক. শাহবন্দর:

বন্দরের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বলা হত শাহবন্দর। এদের দায়িত্ব ছিল মালাক্কাতে বাণিজ্য কাফেলাকে আকৃষ্ট করা। মালামাল সরবরাহ, লোড-আনলোড দেখাশোনা করা, শুল্ক আদায়, উপহার গ্রহণ এবং সৃষ্ট বিরোধী মীমাংসা করা। অঞ্চল ভেদে চারজন শাহবন্দর  নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। যেমন-


  1. চীন, চম্পা, পূর্ব বর্ণীও, শ্যাম ও জাপানের জন্য একজন শাহবন্দর;

  2. শুধুমাত্র গুজরাটি বণিকদের জন্য একজন শাহবন্দর; 

  3. পসেই, বার্মা, পেগু, বাংলা ও মালাবার করোমন্ডল এর বনিকদের জন্য একজন এবং 

  4. জাভা, পালেমবাং, ফিলিপাইন ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য এলাকার বণিকদের জন্য এক জন শাহবন্দর নিয়োগ দেয়া হয়।  


খ. লাক্স মানার:

লাক্সমানার  ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক কর্মকর্তা। তিনি সুলতানের দেহরক্ষী বাহিনীরও প্রধান ছিলেন। বন্দর রাষ্ট্র হওয়ার কারণে লাক্সমানার পদটি বর্তমান নৌ বাহিনী প্রধানের সঙ্গে তুলনীয়। তার দায়িত্ব ছিল প্রণালীতে দস্যুতা,লুটতরাজ  রোধ করা এবং নিরাপত্তা বিধান করা।

 

  1. ওজনে কারচুপি রোধ:

বণিকরা যাতে ওজনে কোন প্রকার কারচুপি করতে না পারে সেজন্য কড়া নজরদারি ছিল। সাহা বন্দরের কাছে নির্দিষ্ট মাপের বাটখারা ছিল। এর মাধ্যমে ওজন নিশ্চিত করা হতো। কারচুপি হলে তাৎক্ষণিক শাস্তি ব্যবস্থা ছিল। 


 

  1. স্বল্প ও সম শুল্ক নীতি:

মালাক্কাতে বাণিজ্যিক পণ্যের উপর সমশুল্ক নির্ধারিত ছিল এবং শুল্ক ছিল অন্যান্য অঞ্চলের বন্দরের চেয়ে কম।  এখানে বাণিজ্য শুল্ক ছিল সবার জন্য ছিল ৬%।  চীনের উপর কোন শুল্ক ছিল না। তবে উপহার হিসেবে 1% দেয়া হতো। যখণ চীনের বন্দরে শুল্ক ছিল 30% আর শ্যামের বন্দরে শুল্ক ছিল 22.2% তখন মালাক্কা দিচ্ছিল মাত্র 6%। স্বল্প ও সমশুল্ক মালাক্কার বাণিজ্যিক উন্নতি তরান্বিত করেছিল।


  1. ভূগর্ভস্থ শসাগার:

পণ্যের মান ভালো রাখার জন্য এবং পণ্য সংরক্ষণের জন্য এখানে ভূগর্ভস্থ শষ্যাগার ছিল। এই সুবিধার জন্য বনিকরা মালাক্কাতে বাণিজ্য করার জন্য আগ্রহী ছিল। 

According to K. G. Tregonning-

It becomes an entrepot a storehouse for deposits and a commercial Centre for the collection and distribution of imports and Exports


(See- K. G. Tregonning, A History of Modern Malaysia and Singapore. Eastern University Press, 1964)


  1. জলদস্যুতা রোধ:

মালাক্কার অঞ্চলের ভিতর এবং বাহিরের জলদস্যুদেরর আক্রমণ থেকে প্রনালীকে রক্ষা করার জন্য পরমেশ্বর Hang Tuah  নামক শক্তিশালী লাক্সমানার  নিয়োগ করেছিলেন। তিনি দিলি ও অন্যান্য এলাকাতে বিদ্যমান জলদস্যুদের ঘাঁটি ধ্বংস করেন। এই সকল পদক্ষেপের ফলে এখানে Come one come all রীতি চালু হয়ে যায়। 


According to K. G. Tregonning-

Malacca with its sensible come on come all was like an oasis in the desert.

(See- K. G. Tregonning, A History of Modern Malaysia and Singapore. Eastern University Press, 1964)


  1. পরমেশ্বরের ইসলাম গ্রহণ:

রাজা পরমেশ্বরের ইসলাম গ্রহণ বাণিজ্যিক রাষ্ট্র হিসেবে মালাক্কার উত্থানে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। ১৪১৪ সালে পরমেশ্বর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং পসেই সুলতান এর কন্যাকে বিবাহ করেন। এতে মুসলিম বণিকদের সাথে মালাকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত হয়। 



According to Lea E. Williams 

Conversion of the Malaccan king to Islam may have been similarly promoted by the desire to enlist the support of diplomatic allies and trading partners

( See- Lea E. Williams, Southeast Asia: A History, New York, 1976, P- 48

 

  1. অনুকূল পরিবেশ ও সম্পর্ক উন্নয়ন:

পরমেশ্বর এখানে জনবসতির জন্য যুগোপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলেন। নদীর তীরবর্তী,মধ্য ও পাহাড়ি এলাকার মানুষের মাঝে তিনি সম্পর্ক জোরদার করেন। যাতে ব্যবসা বাধা প্রাপ্ত না হয় এবং বিপদে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত হয় তার। তার প্রচেষ্টায় এখানে Pluralistic Society  গড়ে ওঠে, এটা Cosmopoliton Merchantile Kingdom এ পরনিত হয়। 

  1.  সেনাবাহিনী গঠন:

বাণিজ্যে অর্থনৈতিক প্রভুত উন্নতি সাধিত হলে পরমেশ্বর মালাক্কার সার্বিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষে সৈন্যবাহিনী গঠন করেন যা মালাক্কার আঞ্চলিক শক্তিমত্তার মূল ভিত্তি ছিল। পরবর্তীতে এই সৈন্যকে কাজে লাগিয়ে তুন পেরাক মালাক্কার বিরুদ্ধে সকল সামরিক অভিযান ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন। 


পরিশেষে একথা বলা যায় যে, বনিকতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে মালাক্কার প্রতিষ্ঠার জন্য পরমেশ্বর গৃহীত পদক্ষেপ ছিল যুগান্তকারী এবং বাস্তবসম্মত। মালাকার কৌশলগত অবস্থান তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক ছিল। 

According to John Gullick-

From these beginnings, the state of Malaka flourished during the fifteenth century A.D. as the regional Trade Centre of Southeast Asia and as an important link In an international Maritime trade route between Europe and far east. (See- John Gullick, Malaysia: Economic  expansion and National Unity, Torento, 1981




গ্রন্থপঞ্জি

  1. জহর সেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তকপর্ষদ, কালকাতা ,১৯৮৫

  2. ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ এবং ড. আবু নোমান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমানদের ইতিহাস, এম আব্দুল্লাহ এন্ড সংন্স, তৃতীয় প্রকাশ, ঢাকা, ২০১৭

  3. সুবোধ কুমার মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া,  মিত্রম, কলকাতা, ২০১৫







Md. Billal Hossain

B.A. Honors (1st Class 4th), M.A. (1st Class 2nd), University of Dhaka

BCS General Education

Lecturer

Department of Islamic History & Culture

Chandpur Govt. College, Chandpur.


3 comments:

  1. ভাই, মালাক্কা-চীন সম্পর্কের (১৪০৩-১৫১১) ওপর একটা পর্যালোচনার অনুরোধ জানাচ্ছি। দেখবেন অনুগ্রহ করে।

    ReplyDelete
  2. এ বিষয়ে তৈরি করা কিছু্ই নেই।

    ReplyDelete
  3. মালাক্কা সালতানাতের সরকার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর আলোকপাত কর। এ প্রশ্নের উত্তরটি দিলে অনেক ভালো হতো

    ReplyDelete