Breaking

Tuesday 14 March 2023

হযরত উমর (রা.) এর শাসনতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সংস্কার


 হযরত উমর (রা.) এর প্রশাসনিক সংস্কার


মুসলিম শাসকদের মাঝে হযরত উমর (রা.) ছিলেন সবচেয়ে যোগ্য ও বিচক্ষণ। তিনিই মূলত মুসলিম শাসন প্রলালীর প্রকৃত প্রবর্তক। তিনি শুধু সুবিশাল ভূখন্ডের শাসকই ছিলেন না, তিনি এইসব বিজিত অঞ্চলে সুশাসনও কায়েম করেছিলে। এ প্রসঙ্গে S.M Imamuddin বলেন- He was not only a great conqueror but also classed for all time, among the best of rulers and most successful of national leaders.”





হযরত উমর (রা.) এর শাসনতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সংস্কার:


  1. গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা:

হযরত উমর (রা.) ছিলেন একজন গণতান্ত্রিক শাসক। রাসূল (স.) যে গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোর প্রবর্তন করেছিলেন, হযরত উমরের সময়ে তা বিকশিত হয় পরিপূর্ণভাবে। তাঁর শাসনাধীন রাষ্ট্রে সকল মুসলিমদের সমান অধিকার ছিল। জিম্মি ও অমুসলিম প্রজারা জিযিয়া কর প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা ভোগ করতো। প্রত্যেক ব্যক্তির যোগ্যতা অনুসারে কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল। তাঁর শাসন প্রণালী ছিল জবাবদিহিতামূলক। খলীফার কর্মকাণ্ডের উপর সমালোচনা করা প্রত্যেক জণগণের অধিকার ছিল । খলীফা যাতে একনায়কন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্র সৃষ্টি করতে না পারেন সে জন্য জবাবদিহিতার ব্যবস্থা ছিল। পরামর্শ  সভার সকল সদস্যদের অভিমতের উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র পরিচালনা হত। সাম্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হত। ভ্রাতৃত্বের আদর্শ  ছিল রাষ্ট্রের মূল চালিকা শক্তি। বায়তুল মাল ছিল সম্পূর্ণরূপে জনগণের সম্পত্তি। খলীফা এ থেকে ন্যূনতম ভাতা গ্রহণ করতেন।


  1. মজলিস-উশ- শূরা

হযরত উমরের মতে পরামর্শ ব্যতিত কোন রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না। এই পরামর্শ  সভার অনুমোদন ব্যতীত খলীফা এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতেন না। এটি দুইটি অংশে বিভক্ত ছিল। যথা:  


  1. মজলিস আল-আম বা সাধারণ পরিষদ

রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সিদ্ধান্ত এই সভায় নেওয়া হত। এখানে সাধারণ জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হত।


  1. মজলিস আল-খাস বা বিশেষ পরিষদ 

রাষ্ট্রের গুরুতপূর্ণ  সিদ্ধান্ত যেমন- কাজী বা বিচারক নিয়োগ, প্রাদেশিক গভর্ণর, সামরিক বাহিনীর প্রধান ইত্যাদি নিয়োগের সিদ্ধান্ত এই সভায় নেওয়া হত। খলিফা, বিশিষ্ট সাহাবী, হাদীস বিশারদ ও অন্যান্য গুরুতপূর্ণ  ব্যক্তিবর্গ এই পরিষদের সদস্য ছিলেন।


  1. কেন্দ্রীয় শাসন

কেন্দীয় শাসনব্যবস্থার মধ্যমণি ছিলেন স্বয়ং খলীফা হযরত উমর (রা.)। তিনি কেন্দ্রের শাসন পরিচালনা করতেন। অভিজ্ঞ সাহাবীগণ ছিলেন তাঁর প্রধান পরামর্শদাতা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন- হযরত উসমান (রা.), হযরত আলী (রা.), হযরত তালহা(রা.), হযরত যুবায়ের (রা.), সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। 


  1. প্রাদেশিক শাসন

খলীফার শাসনকার্যের সুবিধার জন্য সমগ্র রাষ্ট্রকে ১৪টি প্রদেশে ভাগ করেন। প্রদেশগুলো হচ্ছে- ১. মক্কা ২. মদীনা ৩. সিরিয়া ৪. বসরা ৫. কুফা ৬. ফারস ৭. কিরমান ৮. খুরাসান ৯. মিসর ১০. ফিলিস্তিন ১১. মাকরান  ১২. সিজিস্তান ১৩. আজারবাইজান ১৪. জাজিরা।তিনি প্রাদেশিক গভর্ণরদের যোগ্যতা ও বিচক্ষণতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতেন।



  1. ওয়ালী ও আমিল:

প্রত্যেক প্রদেশের জন্য একজন প্রদেশপাল নিয়োগ করেন। প্রদেশপালকে বলা হত আল-ওয়ালী। প্রত্যেক প্রদেশকে খলীফা অসংখ্য জেলায় বিভক্ত করেন। জেলার পধ্র ান ব্যক্তিকে আমিল বলা হতো। যথাμমে ওয়ালী এবং আমিল তাদের নিজ নিজ কাজের জন্য খলীফার নিকট দায়ী থাকতেন। প্রত্যেক হজ ¡ মৌসুমে খলীফা তাঁদের সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাদের দায়িত ¡ এবং কর্তব্য সম্পকের্  অবগত হতেন। ওয়ালী ও আমিলগণ তাদের অঞ্চলে আরো গুরুতপূর্ণ  দায়িত্ব পালন করতেন। তারা ছিলেন সামরিক প্রধান ও রাজস্ব সংগ্রাহক, প্রদেশ ও জেলার প্রধান বিচারক।


  1. কৃষি ও বাণিজ্য সংস্কার:

খলীফা হযরত উমর (রা.) কৃষি ব্যবস্থার উনড়বয়ন সাধন করেন। তিনি জায়গীর প্রথা বিলোপ করেন, কৃষিতে কৃষকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেন। সেচের ব্যবস্থা করেন, জমির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতার উপর কর ধার্য  করেন। বাঁধ সংস্কার ও খাল নির্মাণ করেন। তার নির্দেশে আমর ইবন আল আস (রা.) মিসরে সুয়েজখাল খনন করেন যা ৮০ বছর কার্যকরী ছিল। তিনি বণিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ সুগম করেন।




  1.  আদমশুমারী:

হযরত উমর (রা.) সর্বপ্রথম পরিকল্পিত ভাবে আদমশুমারী করার ব্যবস্থা করেন। রাজস্ব বন্টন ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে ভাতা প্রদানের জন্য এটি ছিল একটি বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ।


  1. রাজস্ব প্রশাসন/দিওয়ান:

হযরত উমরের রাজস্ব ব্যবস্থা বা দিওয়ান প্রতিষ্ঠা ছিল যুগান্তকারী একটি সংস্কার। রাষ্ট্রের বিভিন্ন উৎস থেকে রজস্ব সংগ্রহ এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্ধারণের জন্য খলীফা দিউয়ানুল বা রাজস্ব বিভাগ নামে একটি প্রশাসনিক বিভাগ চালু করেন। এটি রাজস্ব সংগ্রহ ও রাষ্ট্রীয় কাজে এর ব্যয়, হিসাব-নিকাশ এবং সুষম বন্টন নিশ্চিত করতো। সুষ্ঠু রাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে মুসলিম রাষ্ট্রের আয়ের উৎস বৃদ্ধি পায়, সম্পদের সমবন্টন সম্ভব হয়। রাজস্বের বিভিন্ন  উৎসগুলো ছিল। যেমন-


  1. যাকাত:

সকল সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর যাকাত প্রদান ফরজ ছিল। কোন মুসলিম ব্যক্তির যদি গচ্ছিত সম্পদের পরিমান ৭.৫ তোলা ¯ণ্বর্  বা ৫২.৫ তোলা রৌপ্য মূল্যের সমান হয় এবং তা যদি এক বছর গচ্ছিত থাকে তবে তার জন্য যাকাত প্রদান করা ফরজ।


  1. জিযিয়া:

এটি ছিল নিরাপত্তামূলক কর। মুসলিম রাষ্ট্রের বসবাসকারী অমুসলিম প্রজারা জিযিয়া প্রদানের মাধ্যমে বিশেষ সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা ভোগ করত।


  1. গনিমাহ:

এটি ছিল যুদ্ধলব্ধ দ্রব্য-সামগ্রী যার ১/১০ অংশ বায়তুল মালে রাখা হত এবং অবশিষ্ট ৯ ভাগ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈন্যের মধ্যে বন্টন করা হতো।


  1. খারাজ:

এটি ছিল ভূমিসর। মুসলিম রাষ্ট্রের অমুসলিম প্রজারা উৎপন্ন শস্যের ১/২ থেকে ১/৫ অংশ খারাজ প্রদান করত।


  1. ওশর:

এটি মুসলিম প্রজারা উৎপন্ন শস্যের ১/১০ অংশ রাষ্ট্রের কোষাগারে প্রদান করতেন।


  1. আল ফাই:

এটি ছিল রাষ্ট্রের খাসজমির (ঈৎড়হি ষধহফ) আয়। এটি জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হতো।


  1. উশুর: 

এটি ছিল বাণিজ্য কর । বাণিজ্যিক শুল্ক হিসেবে এটি মুসলিম বণিকদের কাছ হতে ২.৫ % ও অমুসলিম বণিকদের কাছ থেকে ৫% এবং বিদেশী বণিকদের কাছ হতে ১০% আদায় করা হতো।




  1. বায়তুল মাল পুনর্গঠন

খলীফা হযরত উমর (রা.) বায়তুল মাল সংস্কার করেন। এটি ছিল সম্পূণর্  ভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান। সমস্ত রাজস্ব ও রাষ্ট্রীয় আয় এই কোষাগারে জমা হতো। এটি হতে পরবর্তীতে খলীফা ভাতা প্রদান করতেন।


  1. ভাতা প্রদান

সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীর বেতন পরিশোধের পর রাজস্ব বিভাগের অবশিষ্ট অর্থ  খলীফা তালিকা অনুসারে ভাতা হিসেবে বন্টন করতেন। এ ‍বিষয়ে অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হতো। যথা-


প্রথম স্তর         : মহানবী (সা.) এর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যগণ;

দ্বিতীয় স্তর : বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীগণ;

তৃতীয় স্তর         : আবিসিনিয়ার হিজরতের পূর্বে  ইসলাম কবুলকারীগণ;

চতৃর্থ  স্তর         : মক্কা বিজয়ের পূর্বের  ইসলাম গ্রহণকারীগণ;

পঞ্চম স্তর         : সেনাবাহিনী পরিষদের সদস্যবৃন্দগণ;

ষষ্ঠ স্তর : সাধারণ দুস্থ নারী-পুরুষ ও শিশু;

সপ্তম স্তর         : মক্কা বিজেয়ের পর ইসলাম গ্রহণকারীগণ



  1. বিচার ব্যবস্থা

হযরত উমর (রা.) এর বিচার ব্যবস্থা ছিল স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন। সুশাসন ও ন্যায় বিচার রক্ষা ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। ইসলামী আইন কানুন ও শরিয়ত মোতাবেক বিচার কার্য পরিচালিত হত। আইনের চোখে সকলেই ছিল সমান, এমন কি খলীফার এর উধ্বের্  ছিলেন না। কাজী-উল-কুযাত ছিলেন পধ্র ান বিচারপ্রতি।


  1. পুলিশ বিভাগ

অপরাধ দমন ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য খলীফা পুলিশ বিভাগ সৃষ্টি করেন। তিনি জেলখানাও প্রতিষ্ঠা করেন।


  1. গোয়েন্দা বিভাগ

খলীফার শাসনামলে তদন্ত ও গোয়েন্দা বিভাগও প্রবর্তিত হয়। এ বিভাগ খলীফার চোখ ও কান হিসেবে বিবেচিত হত।


  1. সামরিক বিভাগ

সামরিক বিভাগ ছিল রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ  একটি বিভাগ। তিনি সমগ্র রাষ্ট্রকে ৯ টি সামরিক জেলা বা জুনুদে বিভক্ত করেন। যথা-

  1. মদিনা 

  2. কুফা 

  3. বসরা 

  4. মিসর 

  5. ফুস্তাত 

  6. দামেস্ক 

  7. হিম্স 

  8. ফিলিস্তিন 

  9. মসুল। 

সামরিক বিভাগকে বলা হত দিউয়ান আল জুনুদ। সামরিক অফিসার ও সৈন্যগণ নগদ অর্থে পারিশ্রমিক পেতেন। সেনা বাহিনী অগ্র, পশ্চাৎ, মধ্যভাগ, ডান ও বাম হস্তে বিভক্ত ছিল। আমিরুল আশরাফ, কায়িদ ও আমির ছিল সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের অফিসার।



  1. হিজরি সনের প্রবর্তক

খলীফা হযরত উমর (রা.) সবপ্রথম  হিজরী সনের প্রবর্তন করেন। রাসুল (স.) এর হিজরতের ঘটনাকে অমর করে রাখা এবং মুসলিমদের একটি স্বতন্ত্র সন হিসেবে তিনি হিজরী সনের প্রবর্তন করেন। 


  1. আরব জাতীয়তাবাদের  প্রবক্তা:

হযরত ওমরের শাসন ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল আরব জাতীয়তাবাদকে বিশুদ্ধ রাখা। আরব জাতীয়তাবাদকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য তিনি দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন। যথা- 


  1. আরব উপদ্বীপকে সম্পূর্ণভাবে একমাত্র আরবদের আবাসভূমিতে পরিণত করার জন্য খাইবারের ইহুদিদেরকে এবং নাজরানের খ্রিস্টানদেরকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিয়ে আরব উপদ্বীপ থেকে বহিষ্কার করেন। 


  1. তিনি আরব সৈন্যদেরকে আরবের বাহিরে জমি ক্রয় ও চাষাবাদ বিশুদ্ধ করেন এবং আরবের বাহিরে বিবাহ নিষিদ্ধ করেন। এভাবে তিনি আরব জাতীয়তাবাদকে বিশুদ্ধ রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। 


  1. জনকল্যানমূলক কাজ

তিনি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক সংস্কার সাধন করেন। সেচ ব্যবস্থা, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, চিকিৎসাকেন্দ্র সরাইখানা, মসজিদ, ইত্যাদি নির্মাণ করেন।


খলীফা উমর (রা.) ইসলামের ইতিহাসে “Omar The Great” বা মহান উমর নামে পরিচিত। তিনি তাঁর শাসনামলে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার আদর্শ  নমুনা স্থাপন করে গেছেন। তাঁর রাষ্ট্রকাঠামো ছিল আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও সুষম। মহানবী (সা.) এর পর তিনি ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র নায়ক। তাঁর দেখানো রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রশাসন পরবর্তীতে উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলিফাগণ আংশিক অনুসরণ করে গেছেন। তাঁর গৃহীত সংস্কারের অনেক কিছুই আধনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অনুকরনীয় আদর্শ হিসেবে চর্চা হচ্ছে। 



হযরত উমর (রা.) এর প্রশাসনিক সংস্কার

হযরত উমর (রা.) এর প্রশাসনিক সংস্কার

হযরত উমর (রা.) এর প্রশাসনিক সংস্কার

হযরত উমর (রা.) এর প্রশাসনিক সংস্কার

হযরত উমর (রা.) এর প্রশাসনিক সংস্কার



আরও পড়ুন-

বিদায় হজ্বের ভাষণ এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কর্তৃক ঘোষিত সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংস্কারাবলী


আরও পড়ুন-
মুহাম্মদ (স.) এর নবুওয়াত লাভ এবং ঘটনাবহুল মক্কী জীবন


আরও পড়ুন-
খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজ।। ইসলামের পঞ্চম খলিফা 


আরও পড়ুন- 


আরও পড়ুন-

মুহাম্মদ (স.) এর হিজরত: কারণ ও ফলাফল


আরও পড়ুন-

হযরত উসমান  (রা.) এর   বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ পর্যালোচনা


আরও পড়ুন-

রিদ্দার যুদ্ধঃ কারণ ঘটনা ও ফলাফল





সংগৃহীত ও পরিমার্জিত

External Link

http://www.ebookbou.edu.bd/Books/Text/OS/HSC/hsc_1856/Unit-06.pdf


No comments:

Post a Comment